এপ্রিলসাধারণ এপ্রিল

আলপনা একে ক্ষুধার দেশের বিশ্ব রেকর্ড

বিজ্ঞাপন

বাংগামি হোক বাংলালিংকের সাথে, বার্জার পেইন্টস এবং বাংলালিংক এর উদ্যোগে মিঠামাইন এ ১৮ কিমি রাস্তায় আলপনা একে বিশ্বরেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। অনেকে বলেন এটি নিছক বেহুদা খরচ, অনেকের মতে ক্যামিকেলের কারণে আসেপাসের জমতে ক্ষতি হবার আশঙ্কা আর অনেকে জানান না খেয়ে থাকলেও আলপনা আকা যৌক্তিক কারণ এদেশের রাস্তায় মানুষের চেয়েও প্লাস্টিক বেশি।

Shah Sompurno বৈশাখে আল্পনা দেওয়া হারাম কিন্তু ঈদে মেহেদি দিলে মেট্রোরেলে করে বেহেশতে যাবে। এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন অফ থাকায় শেয়ার দিয়ে সবাই তাকে “মিস্টেক” বলে আখ্যায়িত করছে।

Pinaki Bhattacharya – পিনাকী ভট্টাচার্য এইটা একটা সিরিয়াস বুলশিট। কেন বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা কিছু বলছে না। হাওর একটা ইকোলোজিক্যালি ভেরি সেনসেটিভ এরিয়া। এই কেমিক্যাল পেইন্টিং এ থাকা টক্সিক কেমিক্যাল বিশেষ করে বিসফেনল এ একটা এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টার।

Shahriar Faisal শেয়ার দিয়ে লিখেব, এসব দেখার কি কেউ নেই? মিঠামইন হাওরে ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় আলপনা আঁকার বুদ্ধি কার মাথায় আসলো আর এর অনুমতিই কে দিলো? এই রংয়ের ভারী ক্যামিক্যাল বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গিয়ে পড়বে ধান ও মাছের অন্যতম উৎস বিস্তৃর্ণ হাওরে। এই ক্যামিকেলের কারনে প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। এই ক্যামিক্যাল ফসল ও মাছের মাধ্যমে প্রবেশ করবে মানব দেহে। অথচ কি মহাসমারহে চলছে এই তান্ডবলীলা…।

মিঠামইন এর রাস্তার আল্পনায় ‘ছবিটা দেখতে খুব অদ্ভুত সুন্দর হইলেও রোড সেইফটি নিয়া একবারো ভাবলো না শিল্পীরা!! এইটা একটা রাস্তা। লেন ডিভাইডার মার্কার হারায়ে গেছে শিল্পের ঠ্যালায়। এবং ড্রাইভিং এর সময় নানা রঙ খুবই ডিস্ট্র্যাক্টিং। রোড সেইফটি কম্প্রোমাইজ করে শিল্প করার আইডিয়াটা খুবই বাজে। বৈশাখে কত জায়গায় আলপনা করার সুযোগ আছে!! কিন্তু সৌন্দর্যের চাইতে সেইফটি যে বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেটা এই বোদ্ধাদের প্লিজ একটু বুঝায়ে দেন।’ – নিশাদ আদনান।

আরো দেখুন

রিলেটেড আর্টিকেল

Leave a Reply

Back to top button