
টানা তীব্র তাপদাহে সারাদেশের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।। দীর্ঘদিন বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষজন রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছে্ন না।
এই তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি জন আল্লাহ কাছে পানাহ চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা। ইসতিসকা শব্দটির অর্থ পানি প্রার্থনা করা বা বৃষ্টির জন্য দোয়া করা। অতীত এর গুনাহ এর জন্য আল্লাহ এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে বৃষ্টি এর জন্য প্রার্থনা জানানো এর প্রক্রিয়াকে ইসতিসকা বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালা এর মাধ্যমে আল্লাহ এর সাহায্য কামনা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৩) দাবদাহে বৃষ্টি এর জন্য দোয়া ও ইসতিসকার নামাজ আদায় এর নিয়ম জানতে পারবেন এখানে
বৃষ্টির জন্যে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে
বৃষ্টির জন্যে নামাজ পড়ার পরপরই বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি আসায় শাহবাগীরা কান্নায় ভেঙে পরে। তাদের কথা ব্যাঙের বিয়ে যদি বৃষ্টি না নামাতে পারে থাওলে নামাজ কিভাবে বৃষ্টি নিয়ে আসে? ফেসবুকে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি আসার পরপরই যেসব জেলায় বৃষ্টি আসেনি সেগুলো নিয়ে সরব হন তারা।
এসব ব্যাপারে শাহবাগী/বাঙ্গু সেক্যুদের সমস্যা Nafis Shahriar তার ফেসবুক পোস্টে তুল ধরেছেনঃ
- যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে বলবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই কইছিল, তাই তোমরা সুবিধামত টাইমে নামাজ পড়ে স্টান্টবাজি করছ।
- আর যদি বৃষ্টি না হয়, তখন এরা বলবে নামাজ পইড়া তো বৃষ্টি নামাইতে পারলা না।
আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক ইবাদত এবং দাসত্বের। তাঁর সাথে তো আমাদের দেনাপাওনার সম্পর্ক নেই। রাসুল(ﷺ) এর সুন্নাহ্ অনুযায়ী আমরা এই নামাজ পড়ছি। আল্লাহ্ বৃষ্টি দেবেন কী দেবেন না এটা তাঁর ইচ্ছা।