
এবার আনসারের বেশে এলো ছাত্রলীগ
‘আন্দোলনকারী অনেকেই আনসার সদস্য নয়; তারা বহিরাগত। তারা আনসারের পোশাক নিয়ে আন্দোলনে আসেন অন্য উদ্দেশ্যে।’
প্রথমেই জেনে নেই আনসার অর্থ কী?

আনসার বিদ্রোহের মূল নায়ক
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বরাতে জানা গেছে বিগত ১৫ বছরে প্রায় ৪২ হাজার অঙ্গীভূত আনসার নিয়োগ পেয়েছেন, যার বেশিরভাগ সদস্যই গোপালগঞ্জ ও এর আশেপাশের জেলার বাসিন্দা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। সুত্র মারফতে জানা গেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকের পরোক্ষ উস্কানীতে দেশে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর সচিবালয়ে ২৫শে আগস্ট রবিবার রাত ৯টার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে। বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (ডিডিজি) পদমর্যাদার ৯ জন এবং পরিচালক পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সকল মানুষ যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ঠিক তখন হঠাৎ করেই কেন আনসার সদস্যরা আন্দোলন এর নামে নৈরাজ্য শুরু করেছেন আর এই নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ সাধারণ মানুষ নিজেদের মত করে প্রকাশ করছেন। আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
আনসারদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত
রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক আইডিতে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় আনসার সদস্যদের প্রতিহত করতে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যায়।
হামলার ঘটনায় তিন দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
দাবিগুলো হলোঃ
- ১. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে।
- ২. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
- ৩. সরকারের সকল পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।