ফেব্রুয়ারিভাইরাল ফেব্রুয়ারি

চব্বিশ সালের বইমেলা এবং আমাদের সমাজ

বিজ্ঞাপন

মোশতাক-তিশা

এদেরকে বইমেলা থেকে বের করে দেওয়ার কোনো অধিকার কারোর কি ছিলো? বই কিনতে কাউকে এরা জোড় করেনি। এবং এনাদের পূর্ণ অধিকার ছিলো বই বের করার, বইমেলায় ঘুরতে আসার। কিন্তু হিপোক্রেট গুলা নিজেদের স্বাধীনতা আজ পর্যন্ত তো বাস্তবায়ন করতে পারেইনাই আসছে চুনোপুঁটিদের নিয়ে নাক গলাতে। আজকে যদি মোশতাক তিশা না হয়ে আনভীর-মুনিয়া বইমেলায় যেতো তাহলে ২০০শ গজের আসেপাশে আসার সাধ্যও ছিলোনা, যেখানে পেট এ লাথি খেয়ে কুল পায়না সেখানে আসছে অন্যদের বিষয়ে নাক গলাতে। যারা বলতেছেন সমাজ ওদের কারণে নষ্ট হয় তাদের কে বলবো ওনারা আসলে আমাদের সমাজেরই প্রতিরূপ দাঁড় করিয়েছে। গতো ১০ বছর কিংবা তারও অধিক সময়ে যেখানে কথা বলা উচিত সেখানে না বলে আপনারা যখন সামান্য মোসতাক তিশা নিয়ে পরে থাকছেন সেখানেই সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে যদি আনভীর মুনিয়া আসতো তাহলে কারোর বাপের সাধ্য ছিলোনা ২০০ গজের আশেপাশে যাওয়ার, কিন্তু পারবেন শুধু দুর্বলের সাথেই। মোশতাক তিশা বিবাহিত, কাউকে জোড় করেনাই বই কিনতে, তাও আপনাদের সমাজের কাঠাম্প এতোই দুর্বল যে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে? ইসলামিক ভাবে তাদের বিয়ে বৈধ না, এটা যেমন সত্য তেমনই সামাজিক ভাবে বিয়ের পর যতোটুক তাদের প্রাপ্য সেটা থেকেও বঞ্চিত করার অধিকার নেই কারোর। মোশতাক আর তিশা ভালো আছে। ইসলামিক কথাই যদি বলেন তাহলে পুরুষকে তার মনের মতো তার চোখে সুন্দর মেয়ে আর নারীকে তার উপযুক্ত উপার্জনক্ষম সঙ্গী নির্বাচন করার বিধান আছে। এই সেক্সুয়ালি ফ্রাস্ট্রেটেড জাতি সবসময়ই হিপোক্রেসি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। আমাদের ঐতিহ্য বিয়ে কিংবা সামাজিক আচারে নয়, “হুজুগে” হবাই আমাদের সবচেয়ে বড় সংস্কৃতি।

বই মেলায় টিপু সুলতান

উনি বই লিখেছেন, পাবলিশ করিয়েছেন, নিজে মার্কেটিং ও করাচ্ছেন। অনেক কষ্টের কাজ। আমাদের এতোগুলো কোম্পানি নিয়েও নিউ সার্ভিস আনতে খবর হয়ে যায় আর উনার কি পরিমান কষ্ট করতে হয়েছে চিন্তার ব্যাপার। আর এ সহজ কাজটাই আপনাদের মাধ্যমে ফ্রীতে করে ফেলেছেন। ভিডিও 

আরো দেখুন

Leave a Reply

Back to top button