জুনভাইরাল জুন

ঢাবির ক্যান্টিনে খাবারের সাথেই ক্যাশব্যাক মিলছে

বিজ্ঞাপন

ঢাবির ক্যান্টিনে খাবারের সাথেই ক্যাশব্যাক মিলছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে প্রায় প্রায়ই নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি এতে পোকা-মাকড় ও ময়লা আবর্জনা পাওয়ার খবর শোনা যায়। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে খাসির মাংসের তরকারিতে দশ টাকার নোট পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৮জুন) দুপুর ২টার দিকে হলটির ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলে এ দৃশ্য দেখতে পান। পরে সেটির ছবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে হাস্যরসাত্মক বিভিন্ন কথা-বার্তা বলতে থাকেন।

মূল ঘটনাঃ

এ বিষয়ে শামীম বলেন, জুমার নামাজ শেষে ক্যান্টিনে খাবার খেতে গেলে আমি খাসির মাংসের তরকারি অর্ডার করি। তরকারি থালায় ঢালতে গিয়ে দেখি এতে দশ টাকার নোট। তখন ক্যান্টিন ম্যানেজারকে এটি দেখালে সে তা পরিবর্তন করে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপে মাইনুদ্দিন গাউস নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, মুহসীন হলের ক্যান্টিনে টাকাও রান্না করা হয়! দানবীর হল বলে কথা, পাইসা হি পাইসা। খাশির গুদ্দাতে নোটটি পায় এই হলেরই শিক্ষার্থী শামিম।

ফেসবুকের মন্তব্যঃ

  • এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে আবরার রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ভাই এইটা সম্ভবত আপনাকে ক্যাশব্যাক দিছে ইনস্ট্যান্ট।
  • নাফিস ইকবাল লিখেছেন, ছোটবেলায় যে আইসক্রিম এর ভেতরে কয়েন দিতো এখন খাবারের ভেতর বোধহয় নোট দেওয়া হচ্ছে।
  • জাকারিয়া হক লিমন লেখেন, শুধু কি ১০ এর নোট দিয়েই রান্না করা হয়? বড়সড় নোট দিয়ে তরকারি রান্না করলে আমিও খেতে যাবো মুহসীন হলে।
  • এ বিষয়ে ক্যান্টিনের ম্যানেজার রিপন বলেন, নামাজের পর অনেক চাপ থাকে। সবাই একসঙ্গে খেতে আসে। ভিড়ের মধ্যে ভুলে তরকারির মধ্যে নোটটি পড়ে গেছে।

ক্যান্টিন মালিক নূর আলম বলেন, খাবার যেখান থেকে দেওয়া হয় সেখান থেকে টাকা উড়ে মাংসের পিরিচে পড়তে পারে। ভুলক্রমে এটা হয়ে গেছে, ইচ্ছাকৃত নয়।

আরো দেখুন

রিলেটেড আর্টিকেল

Leave a Reply

Back to top button