
নবম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ‘অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট’
গতকাল বিকেলে যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি এমন, ‘জীবন ও জীবিকা’ বইয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় একটি কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে যেটা স্ক্যান করলে ট্রাক্স (Trucss) নামক পর্তুগিজ একটি নারীদের অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে।
দেশ রূপান্তর এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ড. ফরহাদুল ইসলামের সাথে কথা বলেছে। তার দাবি, “বই প্রস্তুত করার সময় কিউআর কোডটি সার্চ করে খেলাধুলার পোশাক সামগ্রীর ছবি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন খেলাধুলার পোশাকের পরিবর্তে অন্যকিছু আসছে।”
- বইয়ে থাকা আলোচিত কিউআর কোড স্ক্যান করার পর ‘trucss’ নামে একটি ব্রাজিলের সাইটে (ডোমেইনেও .br রয়েছে), নিয়ে যাচ্ছে (যদিও দেশ রূপান্তরের দাবি, এটা পর্তুগিজ সাইট।
- সাইটের ভাষা অবশ্য পর্তুগিজই)। এটি নারীদের অন্তর্বাস বিক্রিরই ওয়েবসাইট। অর্থাৎ, দেশ রূপান্তরের দাবি সত্য।
- কিন্তু মাধ্যমিকের একটি বইয়ে তো এমন সাইটের কিউআর কোড বসার কথা নয়৷ এনসিটিবি চেয়ারম্যানও সেটাই বলছেন।
- রিউমর স্ক্যানার বইটি প্রস্তুতের সময়ে সাইটটিতে কী বেচাকানা চলতো তা যাচাই করে দেখেছে। এই সাইটটির ডোমেইন কেনা হয়েছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।
- ব্রাজিলের সিলভানা আপারইসিডা সিলভা নামে এক নারীর নামে এই ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। তিনিই ‘trucss’ নামের এই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা। ২০২০ সালের আগস্ট থেকে পরের বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ের সাইট আর্কাইভ চেক করে দেখা যাচ্ছে, এই সাইটে সবসময়ই নারীদের অন্তর্বাসেরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল।
অর্থাৎ, বইটি প্রস্তুতের সময়েও (২০২০ সালের আগে নিশ্চয়ই বইটি প্রস্তুত হয়নি) একই ক্যাটাগরির পণ্যই কেনাবেচা হতো এই সাইটে। এক্ষেত্রে এনসিটিবি চেয়ারম্যানের যে বক্তব্য দেশ রূপান্তর প্রচার করেছে, সে বক্তব্যে থাকা দাবিটি সঠিক নয়৷
Collected from: Rumor Scanner Bangladesh