ছাত্রীকে স্বরবর্ণ শেখানোর সময় ধরা পরলেন বা কৃ বি’র শিক্ষক

.৪ই মে, বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদ এর অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হল এর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের মোবাইল এ একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা জানান, ‘ওই শিক্ষার্থী শেখ রোজী জামাল হলে থেকে পড়াশোনা করে। দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় প্রায় ১০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে সে। এমন অবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপজ্জনক মনে করা হয় তাই তার স্থানীয় অভিভাবকদেরকে ডেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

স্বীকারোক্তি সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি এর আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম এর সাথে পরিচয় হয় ওই শিক্ষার্থীর। ভর্তির পর ক্লাস শুরু হলে তিনি জানতে পারেন, উক্ত শিক্ষক তাদের একটি প্র্যাক্টিকেল কোর্স এর কোর্স শিক্ষক। পরে মেসেঞ্জারে এর আলাপ এর মাধ্যমে ওই শিক্ষক এর সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই শিক্ষক যে বিবাহিত সেই বিষয়টিও জানতেন শিক্ষার্থী। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তাকে নিজের গাড়িতে তাকে নিয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘আপত্তিকর অবস্থায় আমাকে পাওয়া গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি বিষয়। মেয়েটি আমার গাড়িতেই ছিল, আমিই তাকে হলগেটে পৌঁছে দিয়েছি। পরে শুনলাম হলে নাকি কয়েকজন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু বক্তব্য ও সই নিয়ে গিয়েছে।’

মেয়েটা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন প্রকৃতি এর দাবি করে তিনি জানান, ‘আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তার দুঃখের কথা শুনে তাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছি।’

আমরা মেয়েটির ছবি পাওয়া মাত্রই ]সমঅধিকারে আপলোড করে দিবো, কেউ পেয়ে থাকলে জানাবেন।