
আমিনুল ইসলাম পড়ায় এস্তোনিয়ান এন্ট্রেপ্রেনিয়ারশিপ ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লাইড সায়েন্সে। সেইটা ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটা প্রাইভেট ভোকেশনাল ভার্সিটি। এতে মাত্র চারটা মেজর পড়ায়- বিজনেস, কম্পিউটার সায়েন্স, ইকোনমিক্স আর ইঞ্জিনিয়ারিং, শুধু ব্যাচেলর আর মাস্টার্স। মোট ছাত্র সংখ্যা ১৬০০ জন- বাংলাদেশের অনেক উচ্চবিদ্যালয়ের চেয়ে কম। রেফারেন্সের জন্য- ঢাবিতে এট আ টাইম সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২৫০০০ এনরোলড স্টুডেন্ট থাকে।
ভার্সিটির একসেপ্টেন্স রেইট ওরা প্রকাশই করেনা। মানে হচ্ছে গিয়া উপস্থিত হইলেই ওরা কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়া ভর্তি করে নেয়। শাহবাগী আমিনুল ইসলামের কিছু স্ট্যাটাস সমগ্র।
প্রথম ছবিটা হচ্ছে তাদের র্যাঙ্কিং। অন্য সব হিসাব বাদ দেন। তালিন শহরে ১১ টা ভার্সিটি আছে। সেই এগারোটা ভার্সটির মাঝে দশ নাম্বারে আছে তারা!

আমিনুল দাবি করে সে নাকি হেড অফ ডিপার্টমেন্ট কিসের যেন। কিন্তু তার পোস্ট হচ্ছে সিনিয়র লেকচারার। সিনিয়র লেকচারার হয়ে হেড অফ ডিপার্টমেন্ট হওয়া সম্ভব শুধু আফগানি স্থানের মত দেশে।

তার সিভি দেখেছি। সে ছিল হেড অফ কারিকুলা- অর্থাৎ সেই বাক্কাছ ইউনিভার্সিটির একটা কারিকুলাম সে হয়তো চালিয়েছিল। কোন হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট হইলে তার ভার্সিটির ওয়েবসাইটের পরিচয়ে লেখা থাক্তো- সেই স্ক্রিণশটও দিলাম।
দেখেন সিভিতে পাশে ব্র্যাকেটে (০.৫০) লেখা আছে তার মানে সে পার্ট টাইম টিচার। ভার্সিটির ওয়েবসাইটে শুধু তাকে সিনিয়র লেকচারার বলা আছে। তাছাড়া তার ব্যাকগ্রাউন্ড সোশ্যাল সায়েন্স- সে কিভাবে টেকনিক্যাল ভার্সিটির হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট হবে বুঝলাম না। আমার ধারণা সে কোন একটা কোর্স ডিজাইন করেছে, আর সিভিতে হেড অফ কারিকুলা লাগিয়ে বসে আছে।

সে এক সময় বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ছাত্র নিয়েছে তার ভার্সিটিতে অফার লেটার দিয়ে। আইইএলটিএস ও লাগতো না। সে কয়েকটা প্রশ্ন বলে দিতো, একটা সোকলড ভিডিও ইন্টারভিউতে সেগুলাই আসতো আর ইংরেজিতে পাশ ধরে নিয়ে অফার লেটার দিয়ে দিতো। বিনিময়ে সে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা নিত স্টুডেন্ট প্রতি, অন্যান্য খরচ বাদে। এভাবে সে সিলেটের শ খানেক ইন্টারপাস পোলাপানকে এস্তোনিয়া নিয়ে গেছে ২০১৭-১৮ সালের দিকে। বাংলাদেশের যারা এডুকেশন ব্যবসা করে তারা সবাই তাকে চেনে, একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখেন।
তবে ব্যবসায়ী হিসেবে সে খুব নিচু প্রকৃতির। তার ব্যবসায়িক এথিক্স বলতে কিছু নাই। ধরেন কেউ অনেক কষ্ট করে ছাত্র জোগাড় করলো, অন্য কেউ যদি ৫ টাকা বেশি দেয় তবে সে তাদের ফাইলই করবে, কিংবা নিজেই ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে ফেলবে। ভাবতে পারেন সরাসরি যোগাযোগ করে সে ছাত্রদের কাছ থেকে কম টাকা নেয়- না, সে ফুল টাকাই নেয় মিডলম্যানকে বাদ দিয়ে। সে ব্যক্তি হিসেবে আগাগোড়াই বাটপার।
যাইহোক সে ২০১৭ সালেই কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছে আদম ব্যবসা করে, এখনো সম্ভবত এই ব্যবসা সে করে। তার ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমা দেয়ার রশিদ একটা দিচ্ছি, সেই ব্যাংকে চাকরি করেন এমন কেউ চাইলে তার স্টেটমেন্টও বের করে ফেলতে পারেন সেইসব বছরের বিশ্বাস না হলে।
ফেসবুকে মূল পোস্টঃ শুভো কামাল