
তামিম তালুকদার শিহাব, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের current student, ক্লাস ১২ (এইচএসসি ২০২৫) business group, এবং SSC ’23 ঝালকাঠি গভঃ বয়েজ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তবে এটা কোনো সাধারণ স্টুডেন্ট প্রোফাইল না—এটা অনেকটা একটা নাটকের এপিসোডের মতো, যেখানে লিড ক্যারেক্টারে আছেন তামিম নিজেই, বাস্তব জীবনের দেবদাস (সানডে দিলাম শিলাকে, মানডে দিলাম টিনাকে…).
চলুন শুরু করা যাক তার কাহিনী:
করোনার সময় তামিম আমার বান্ধবীর সাথে রিলেশনে যায়, প্রায় ৩ বছরের রিলেশন। কিন্তু, তামিম being তামিম, এটা simple রাখতে পারে নাই। এই রিলেশনের মাঝে সে ধরা খায়, কীভাবে? তার ঢাকার এক বেস্টফ্রেন্ডকে গোসলের ভিডিও পাঠিয়ে, যেটা তার “first প্রেমিকা” (আশা করি সেই প্রথম) ডিসকভার করে।
স্বাভাবিকভাবেই, তামিমের অজুহাত ছিল রেডি: এগুলো পুরানো ভিডিও, আর তার আইডি হ্যাক করে এগুলো ভাইরাল করা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, তার প্রথম প্রেমিকা এটা বিশ্বাস করে এবং রিলেশন কন্টিনিউ করে।
কিন্তু তামিম এখানেই থামেনি। আরেক বন্ধু তাকে আরেক মেয়ের সাথে চ্যাট করতে দেখে। এটা তার প্রেমিকাকে জানালে, সে এটা বিশ্বাস করে না—আহ, তামিমের প্রেমের উপর অন্ধ বিশ্বাস!
প্রায় ৩ বছর পর তামিম ফ্যামিলি ড্রামা কার্ড খেলে। সে তার প্রেমিকাকে বলে ফ্যামিলিতে কিছু ইস্যু হয়েছে, তাই সে একটু ব্রেক চায়, আর তার প্রেমিকাকে বলে তার জন্য অপেক্ষা করতে, সে তাকে বিয়ে করবে এবং ফ্যামিলিকে মানাবে।
এরপর জানা যায় যে, তামিম প্রায় ৭ মাস আগে থেকেই এইচএসসি ২৬ ব্যাচের (Adamjee) একটি মেয়ের সাথে রিলেশনে যায় এবং তাকে বলে তার প্রথম প্রেমিকার সাথে তার অনেক আগে ব্রেকাপ হয়েছে। অথচ তখনও তাদের ব্রেকাপ হয়নি।
আরও মজার ব্যাপার হলো, আমার আরেক বান্ধবীকে তামিম adult message পাঠায়। ২য় রিলেশনে যাওয়ার ১ মাস পরেই তামিম আমার এই বান্ধবীকে ইনডিরেক্টলি প্রোপোজ করে, এবং তাকে বিয়ে করার প্রমিজও করে। সে বলে তার ২য় প্রেমিকা তার কাজিন, আর সে সিঙ্গেল। তার প্রথম প্রেমিকার কথা পুরো অস্বীকার করে, সে নাকি জন্ম থেকেই সিঙ্গেল!
এছাড়াও সে অনেক মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করে, এমনকি রাস্তাঘাটে মেয়েদের টিস করে। একসাথে একাধিক মেয়ের সাথে সে রিলেশন চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনো চালাচ্ছে। সে তার দ্বিতীয় প্রেমিকা আদমজীর মেয়েটির সাথে এখনো রিলেশনে আছে। ওই মেয়েটাকে আমরা সবকিছু জানিয়েছি। এত কিছুর পরেও সে কেন রিলেশনে আছে সেটা আমরা জানি না। যাইহোক, আমরা চাই না আর কোনো মেয়ের ওর দ্বারা ক্ষতি হোক।
শুরুতে এক্সপোজ করতে না চাইলেও, আমরা জানি সে আরও অনেক মেয়ের জীবন শেষ করে দিতে পারে। কারণ, সে মারাত্মক ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে এবং তার কথায় মেয়েদের ভালোভাবে ম্যানিপুলেট করতে পারে। মিথ্যাকে সত্য হিসেবে দেখানোর ক্ষমতাও তার আছে।